facebook নিয়ে প্রায় ই আমাদের ফ্রেন্ডদের মাঝে একটু আধটু ঝগড়া হয়ে যায় । এ বলে তুই বেশী ফেসবুক করিস , আবার ও বলে তুই তো শালা সারাদিন ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকিস । এ রকম প্রায় ই হয় । কেউ কেউ ফেসবুক খুব সিরিয়াসলি করে , আবার কেউ কেউ শুধু মজার জন্য করে ।. . . . . .
কয়েকদিন আগে আমি দীর্ঘ প্রায় ১০
বছর পর আমার স্কুল জীবনের ৭টযটয-৮ টা বন্ধুকে ফেসবুকে খুজে পেলাম । তখন কী আনন্দ টাই না পেয়েছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না । কিন্তু তার চাই তেও অনেক অনেক বেশী কষ্ট লাগে যখন সামান্য কিছু মনমালিন্য / কমেন্ট দেয়া / Wall এ লিখার কারনে কেউ কেউ এতদিনের সেই প্রিয় বন্ধু টিকে remove করে দেয় বা block list এ ফেলে দেয় । তারপর ও আমি বলব ফেসবুক শ্রেষ্ঠ । যাক সেই সব কথা . . .
অনেকেই আবার মাঝে মাঝে বলে ইন্টারনেট তথা ফেসবুকের দ্বারা বর্তমান তরুন প্রজন্ম ধ্বংসের শেষ লীলায় পৌছে যাচ্ছে । কিন্তু আমি বলব বিষয়টি আপেক্ষিক । ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই তার পুরানো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে , নিয়মিত নিজেদের আপডেটেড তথ্য শেয়ার
করে , বিভিন্ন সামাজিক রাজনীতিক ইস্যুতে নিজেদের মতামত শেয়ার করে।এখন আমরা সবাই যেভাবে ব্যাস্ত
হয়ে পরছি তাতে কারো সাথে দেখা করা খুবই টাফ ।এ ক্ষেত্রে এই ভার্চুয়াল ব্যবস্থা অনেক ভাল।
আর সব প্রযুক্তির খারাপ দিক
থাকবেই।রাতদিন যদি ফেসবুক
নিয়ে বসে থেকে থেকে facebook
syndrome এর রোগী বনে যাই তবে তাতে প্রযুক্তির দোষ কোথায়।
দোষ তো সেই তাদের যারা নিজের
বিবেক ,জ্ঞান,বুদ্ধি ত্যাগ
করে অনর্থক কাজে সময় ব্যায়
করছেন।এভাবে ফেসবুকে দোষ
দিলে তো গোটা ইন্টারনেট
ব্যাবস্থাকে দোষ দিতে হয় ,
আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ দিন,
নিমিষেই অশ্লীল সব উপরকরন
পেয়ে যাবেন , জানতে পারেন নিত্য
ব্যাবহৃত জিনীস পত্র
দিয়ে কিভাবে বোমা বানাতে হয়,
কিভাবে অন্যের ক্রডিট কার্ড
মেরে দিতে হয়।এখন
আপনি কি একে গুগলের খারাপ দিক
বলবেন ?
আমার কথা হোল, প্রযুক্তির
বিপুল ক্ষমতার সর্বোচ্চ
সুব্যবহার নিশ্চিত করার
দ্বায়িত্ব
আপনার ,কেননা আপনি সেই জীব
যাকে পৃথিবীর সব
জ্ঞান ,বুদ্ধি,বিবেকবোধ
দিয়ে তৈরী করা হয়েছে. . . . . .
No comments:
Post a Comment